ঈদুল আযহার ছুটির মধ্যেও স্বাস্থ্যসেবা থেমে থাকেনি চট্টগ্রামের রাঙ্গুনিয়া উপজেলার ইউনিয়ন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কেন্দ্রগুলোতে। বিশেষ করে পদুয়া ইউনিয়ন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কেন্দ্রে ঈদের দিনেও চালু ছিল জরুরি সেবা কার্যক্রম।
ঈদের ছুটিতে এ কেন্দ্রে ৭ জন প্রসূতির সফল নরমাল ডেলিভারি সম্পন্ন হয়েছে। ৫ জন রোগীকে জটিলতার কারণে রেফার করা হয়েছে উন্নততর চিকিৎসার জন্য। পাশাপাশি ৪২ জন গর্ভবতী নারীকে ANC (গর্ভকালীন সেবা) সেবা, ১৯ জন নারীকে PNC ( প্রসূতি পরবর্তী মাতৃসেবা) সেবা এবং ৪ জন নারীকে এমআর (Menstrual Regulation) সেবা প্রদান করা হয়েছে।
স্থানীয় এক সেবাপ্রার্থী নারী বলেন, ‘আমি কখনো ভাবিনি ঈদের দিনেও এত সুন্দরভাবে সেবা পাব। পদুয়ার হাসপাতালটা আমাদের গ্রামের জন্য আশীর্বাদ। এখানে নরমাল ডেলিভারি এত সাবলীলভাবে হয়, শহরেও এতটা শান্তিতে সেবা পাইনি।’

এ প্রসঙ্গে দায়িত্বপ্রাপ্ত পরিবার পরিকল্পনা পরিদশর্ক (এফপিআই) মো. এনামুল হক জানান, ‘জনস্বাস্থ্য সুরক্ষার কথা মাথায় রেখে আমরা ছুটির মধ্যেও সেবা চালু রেখেছি। এলাকার মানুষ যেনো প্রয়োজনীয় স্বাস্থ্যসেবা থেকে বঞ্চিত না হন, এটাই আমাদের লক্ষ্য।
এদিকে শুধু পদুয়ায় নয়, রাঙ্গুনিয়া উপজেলার হোসনাবাদ, রাজানগর, শিলক ও পোমরা ইউনিয়ন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কেন্দ্রগুলোতেও ঈদের ছুটির দিনগুলোতে জরুরি সেবা চালু রাখা হয়। সংশ্লিষ্ট সেবাকেন্দ্রগুলোর কর্মকর্তারা জানান, মাতৃস্বাস্থ্য, জরুরি চিকিৎসা ও পরিবার পরিকল্পনা সেবা নিশ্চিত করতেই এমন উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
স্থানীয়রা জানান, এই ধারাবাহিক সেবাপ্রবাহ রাঙ্গুনিয়ায় স্বাস্থ্যব্যবস্থার প্রতি সাধারণ মানুষের আস্থা আরও মজবুত করছে। এমন উদ্যোগ নিঃসন্দেহে সরকারের প্রাথমিক স্বাস্থ্যসেবার সফলতা তুলে ধরে, বিশেষ করে গ্রামীণ জনগণের কাছে তা হয়ে উঠছে নির্ভরতার প্রতীক।
প্রসঙ্গত, পদুয়া ইউনিয়ন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কেন্দ্র দীর্ঘদিন ধরে নরমাল ডেলিভারিতে বিশেষ সুনাম অর্জন করে আসছে। আধুনিক সুযোগ-সুবিধার অপ্রতুলতা থাকলেও দক্ষতার সঙ্গে কর্মরত এখানকার স্বাস্থ্যকর্মীরা গ্রামীণ পরিবেশে নিয়মিত নরমাল ডেলিভারি করে আসছেন, যা সাধারণ মানুষের আস্থার প্রতীক হয়ে দাঁড়িয়েছে।