জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) নতুন অঙ্গ সংগঠন ‘জাতীয় শ্রমিক শক্তি’র কেন্দ্রীয় আহ্বায়ক কমিটিতে নেতৃত্বের আসনে উঠে এসেছেন চট্টগ্রামের দুই কৃতি সন্তান।
এতে যুগ্ম সদস্য সচিব পদে মনোনীত হয়েছেন চট্টগ্রামের চন্দনাইশ উপজেলার মো. সরোয়ার কামাল আর সংগঠকের দায়িত্ব পেয়েছেন পটিয়া উপজেলার মো. ফারুক হোসেন।
গত শুক্রবার রাজধানীর নিউ ইস্কাটনে জাতীয় শ্রমিক শক্তির আনুষ্ঠানিক আত্মপ্রকাশ হয়।
অনুষ্ঠানে সংগঠনটির আহ্বায়ক হিসেবে মাজহারুল ইসলাম ফকির, সদস্য সচিব হিসেবে ঋআজ মোরশেদ এবং মুখ্য সংগঠক হিসেবে আরমান হোসাইনকে দায়িত্ব দেওয়া হয়।
অনুষ্ঠানে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম এই নতুন সংগঠনটির ঘোষণা দেন।
এ সময় তিনি বলেন, জাতীয় নাগরিক পার্টি শ্রমিকদের পক্ষে রাজনীতি করবে। বিগত ১৬ বছরে শ্রমিকরা সবচেয়ে বেশি নির্যাতিত হয়েছেন। ন্যায্য মজুরির জন্য লড়াই করতে গিয়ে তারা জীবন দিয়েছে, অধিকার হারিয়েছে।
তিনি আরও বলেন, আজ যখন কিছু রাজনৈতিক দল জনগণের সঙ্গে প্রতারণা করে তথাকথিত ঐকমত্যের কাগজে সই করছে, ঠিক সেই দিনই শ্রমিকরা রাজপথে নিজেদের অস্তিত্ব জানান দিচ্ছে; এটাই সত্যিকারের ঐক্য।
পরে সোমবার (২০ অক্টোবর) সংগঠনটির সদস্য সচিব ঋআজ মোরশেদ স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে মোট ১০১ জনের নাম পূর্ণাঙ্গ কেন্দ্রীয় কমিটি ঘোষণা করা হয়।
চট্টগ্রামের সন্তান মো. সরোয়ার কামাল যুগ্ম সদস্য সচিব হিসেবে দায়িত্ব পাওয়ার পর এক প্রতিক্রিয়ায় বলেন, জাতীয় শ্রমিক শক্তি শুধু শ্রমিক অধিকার নয়, মানব মর্যাদার আন্দোলন। চট্টগ্রাম থেকে আমরা শ্রমজীবী মানুষের কণ্ঠস্বরকে জাতীয় পরিসরে পৌঁছে দিতে চাই। এজন্য সবার দোয়া ও সহযোগিতা কামনা করছি।
সংগঠক হিসেবে দায়িত্ব পাওয়া মো. ফারুক হোসেন বলেন, ‘এই আন্দোলন রাজনৈতিক স্বার্থের জন্য নয়, শ্রমিক শ্রেণির মুক্তির জন্য। চট্টগ্রামের শিল্পাঞ্চল থেকে আমরা এক নতুন ঐক্যের বার্তা দিতে চাই। আমাকে এ পদে মনোনীত করায় সংশ্লিষ্টদের প্রতি আন্তরিক কৃতজ্ঞতা ও ধন্যবাদ জানাই।
এদিকে জাতীয় শ্রমিক শক্তির এই আত্মপ্রকাশের মধ্য দিয়ে দেশের শ্রমিক রাজনীতিতে নতুন এক অধ্যায়ের সূচনা হয়েছে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।
তাদের মতে—শ্রমিক রাজনীতিকে কেন্দ্রভিত্তিক থেকে বের করে আঞ্চলিক ও জাতীয় পর্যায়ে যুক্ত করতে এই উদ্যোগ একটি ইতিবাচক পদক্ষেপ।
চট্টগ্রামের শ্রমিক রাজনীতিতে সরোয়ার কামাল ও ফারুক হোসেনের নেতৃত্বকে কেন্দ্র করে এখন নতুন আশার আলো দেখছেন স্থানীয় শ্রমজীবী মানুষ।