শনিবার – ৭ই জুন, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ –  ২৪শে জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

শনিবার – ৭ই জুন, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ –  ২৪শে জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

কৃষি ও খাদ্যনিরাপত্তায় বরাদ্দ বাড়ল ১,৩৬৭ কোটি টাকা

২০২৫-২৬ অর্থবছরে কৃষি, খাদ্য, মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের জন্য মোট ৩৯ হাজার ৬২০ কোটি টাকা বরাদ্দের প্রস্তাব করা হয়েছে। ২০২৪-২৫ অর্থবছরে এ খাতে বরাদ্দ ছিল ৩৮ হাজার ২৫৯ কোটি টাকা।

২০২৫-২৬ অর্থবছরে কৃষি, খাদ্য, মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের জন্য মোট ৩৯ হাজার ৬২০ কোটি টাকা বরাদ্দের প্রস্তাব করা হয়েছে। ২০২৪-২৫ অর্থবছরে এ খাতে বরাদ্দ ছিল ৩৮ হাজার ২৫৯ কোটি টাকা। সে হিসেবে এবছর বরাদ্দ বেড়েছে এক হাজার ৩৬৭ কোটি টাকা।

সোমবার (০২ জুন) বিকালে অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদের বাজেট বক্তৃতায় বিষয়টি উঠে আসে।

কৃষি ফলন বৃদ্ধির লক্ষ্যে প্রতিকূল পরিবেশসসহিষ্ণু জাত ও উন্নত চাষাবাদ প্রযুক্তি উদ্ভাবন, সুলভ মূল্যে কৃষি উপকরণ সরবরাহ, সেচ এলাকা সম্প্রসারণ, বিপণন ব্যবস্থার উন্নয়ন, কৃষি যান্ত্রিকীকরণ ইত্যাদি ক্ষেত্রে কার্যক্রম চলমান রয়েছে। বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক কৃষকদেরকে সহায়তা প্রদান করা হয়েছে। বিভিন্ন দেশ হতে সার আমদানি, দেশে ইউরিয়া সার উৎপাদন বাবদ প্রয়োজনীয় ভর্তুকি প্রদান করা হচ্ছে। বাজেট বক্তৃতায় এসব বিষয় তুলে ধরেন ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ। তিনি বলেন, উৎপাদিত কৃষি পণ্যের অপচয় রোধ করাসহ সার্বিক কৃষি উৎপাদন ব্যবস্থা শক্তিশালী করার লক্ষ্যে প্যাকেজিংসহ হিমাগার ও কোল্ড চেইন কাঠামো শক্তিশালীকরণ, কৃষি পণ্য পরিবহণ ব্যবস্থার উন্নয়ন, কৃষি পণ্যের সাপ্লাই চেইনের সকল অংশীজনের একটি পূর্ণাঙ্গ ডাটাবেইজ তৈরি করা, বিশেষায়িত কৃষি প্রক্রিয়াজাতকরণ অঞ্চল প্রতিষ্ঠা করা, ইত্যাদি কার্যক্রম জোরদার করা হয়েছে।

তিনি আরো বলেন, দারিদ্র্য বিমোচন ও নিম্ন আয়ের জনগোষ্ঠীর খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে বর্তমানে ১ হাজার ৯০১টি কেন্দ্রের মাধ্যমে সারাদেশে ওএমএস কার্যক্রম পরিচালিত হচ্ছে। তালিকাভুক্ত চা বাগানের শ্রমিকদের মাঝে প্রতিকেজি ১৯ টাকা দরে গম বিতরণ করা হচ্ছে। এছাড়া, ‘ভালনারেবল উইমেন বেনিফিট’ কর্মসূচির আওতায় ১০ লক্ষ ৪০ হাজার দুস্থ মহিলাকে মাসে ৩০ কেজি হারে চাল প্রদান করা হচ্ছে। আগামী অর্থবছরে খাদ্য গুদামের ধারণ ক্ষমতা ৩৭ লক্ষ মেট্রিক টনে উন্নীতকরণ ও খাদ্যশস্য ব্যবস্থাপনার প্রাতিষ্ঠানিক সক্ষমতা বৃদ্ধির জন্য কর্মপরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে বলেও তিনি জানান।

দেশের ক্রমবর্ধমান নিরাপদ প্রাণিজ আমিষের চাহিদা পূরণের ক্ষেত্রে মৎস্য, গবাদিপশু ও হাঁস-মুরগির টেকসই জাত উন্নয়ন, রোগ নিয়ন্ত্রণের মাধ্যমে কাঙ্ক্ষিত উৎপাদনের লক্ষ্যে কর্মপরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে বলেও জানান অর্থ উপদেষ্টা।