শনিবার – ৭ই জুন, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ –  ২৪শে জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

শনিবার – ৭ই জুন, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ –  ২৪শে জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

হারিয়ে যাচ্ছে বড় উঠানের জমিদার বাড়ি

যেখানে প্রতিটি ইট যেন কানে কানে বলে যায়, ‘আমি দেখেছি রাজা, আমি দেখেছি নবাব।’ যেখানে একসময় বাজত সেতারের সুর, সেখানে আজ বাজে কেবল বাতাসের শিস। যেখানে নবাব শায়েস্তা খানের কন্যা এসেছিলেন গৃহবধূ হয়ে, সেই বাড়িটিই আজ পড়ে আছে অনাদর-অবহেলায়, অচ্ছুত হয়ে। রাজা থেকে দেওয়ান, হিন্দু থেকে মুসলিম, প্রেম থেকে রাজনীতি—সবই যেন এ বাড়ির সুবিশাল ইতিহাসের এক যৎসামান্য উদাহরণ। বলছি, চট্টগ্রামের কর্ণফুলী উপজেলায় প্রায় ২৫০ বছর ধরে দাঁড়িয়ে থাকা মনোহর আলী খান জমিদারের ঐতিহ্যবাহী বাড়ির কথা। স্থানীয়ভাবে যেটি ‘বড় উঠান মিয়া বাড়ি’ বা ‘দেয়াং পাহাড়ের জমিদার বাড়ি’ নামে বেশ পরিচিত।

বন্দরনগরী চট্টগ্রাম থেকে শাহ আমানত সেতু পার হয়ে ১৫ কিলোমিটার গেলেই কর্ণফুলী উপজেলার বড়উঠান ইউনিয়নের মিয়ারহাট। এখানেই কালের সাক্ষী হয়ে দাঁড়িয়ে আছে আড়াই শতাব্দীরও বেশি ইতিহাস-ঐতিহ্যে ঘেরা একসময়ের রাজকীয় এই জমিদার বাড়ি। ইতিহাস বলে, শতাব্দীপ্রাচীন বড় উঠানের এই জমিদার বাড়ি প্রতিষ্ঠা করেছিলেন বাংলার সুবেদার শায়েস্তা খানের একনিষ্ঠ সহচর ও সেনাধ্যক্ষ রাজা শ্যামরায়। পরে রাজা শ্যামরায় ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করে দেওয়ান মনোহর আলী খান নাম ধারণ করেন। সেই থেকে পাল্টে যায় এ বাড়ির পরিচয়। পরিচিতি পায় মনোহর আলী খান জমিদার বাড়ি হিসেবে।

১৬৬৬ সালের কথা। তখন এ এলাকায় মোগল বাহিনীকে যেন কোনোমতেই বশে আনা যাচ্ছিল না। তাই শায়েস্তা খান এখানে এসেছিলেন শত্রুদের শায়েস্তা করতে। তখন শায়েস্তা খানের সেনাপতি ছিলেন তাঁরই ছেলে বুজুর্গ উমেদ খান। এই উমেদ খানের সহযোগী সেনাধ্যক্ষ ছিলেন রাজা শ্যামরায়।

জনশ্রুতি আছে—সুবেদার শায়েস্তা খান একদিন রাজার ক্ষমতা পরীক্ষা করার জন্য বুদ্ধি আঁটলেন। শায়েস্তা খান বললেন, এক রাতের মধ্যে শ্যামরায় যদি সুবেদার বাড়ির সামনে একটি দিঘি খনন করে তাতে প্রস্ফুটিত পদ্ম দেখাতে পারেন, তবে তিনি বেশ আনন্দিত হবেন। পরদিন সকালে নবাব দেখলেন, সত্যিই তাঁর বাসস্থানের সামনে এক বিস্তীর্ণ দিঘিতে পদ্ম ফুটেছে। যা কমলদহ দিঘি নামে পরিচিতি লাভ করে।

সাংবাদিক জামাল উদ্দিনের লেখা ‘দেয়াং পরগণার ইতিহাস’ বই থেকে জানা যায়, ইসলাম ধর্ম গ্রহণের পর মুসলিম নারীকে বিয়ে করে নতুন জীবন শুরু করার ইচ্ছা প্রকাশ করেন রাজা শ্যামরায়। সেই খবর পৌঁছে যায় সুবেদার শায়েস্তা খানের কাছে। রাজা শ্যামরায় ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করলেও তাঁর পরিবারের আর কোনো সদস্য স্বধর্ম ত্যাগ করেননি।

সামরিক জমিদার মনোহর আলী খানের ষোলোতম বংশধর সাজ্জাদ খান মিটু জানান, ১৬৬৫ সাল থেকে এ পরিবারের জমিদারি শুরু হয়। পাকিস্তান আমলে জমিদারি প্রথা বন্ধ হয়ে যাওয়ার পর তাঁদের জমিদারির অবসান ঘটে। মোগল আমল থেকে ব্রিটিশ শাসনামলের শেষ সময়কাল পর্যন্ত তাঁদের জমিদারির পরিধি চট্টগ্রাম ছেড়ে হাতিয়া ও নোয়াখালী পর্যন্ত বিস্তৃতি লাভ করে। চট্টগ্রামের অধিকাংশ ছোট ছোট জমিদার ছিল এই জমিদার পরিবারের তালুকদার জমিদার। তারা নিজ নিজ এলাকার ভূমির খাজনা তুলে দিতেন দেওয়ান মনোহর আলী খান জমিদারের হাতে।

সরেজমিনে দেখা গেছে, বর্তমানে এই জমিদার বাড়িটিকে দেখলে যে কেউ বলবে, এটি একটি ভুতুড়ে বাড়ি। অথচ দেয়াং পাহাড়ের বিশেষ ইট-সুরকির গাঁথুনিতে দ্বিতলবিশিষ্ট এই বাড়িতে ছিল ছয়টি কক্ষ। এছাড়াও জমিদার বাড়ির প্রবেশপথে ছিল একটি কাছারি ঘর। কাছারি ঘরে বাইরের অতিথিরা এসে আতিথ্য গ্রহণ করতেন। সেখানে বিচার এবং খাজনা আদায় করা হতো। মাটি দিয়ে তৈরি এই কাছারি ঘরটির বিভিন্ন অংশ ক্ষয়ে যেতে যেতে বছরকয়েক আগে তা একেবারেই নিশ্চিহ্ন হয়ে গেছে।

বাড়ির একপাশে ছিল ধানের বিশাল গোলা, অপরপাশে ছিল বিনোদনের স্থান ‘জলসা ঘর’, যেখানে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হতো। প্রতি বছর খাজনা গ্রহণের সময় এলাকাভুক্ত ছোট জমিদার, তালুকদার, চৌধুরী ও প্রজাদের মেলা বসত এই জমিদার বাড়িতে। তখন উপমহাদেশের অনেক বিখ্যাত শিল্পী এ বাড়িতে এসে গান করতেন। বাড়ির সামনে এখনো দাঁড়িয়ে আছে এক দিঘি। পাশেই রয়েছে ২৩০ বছরের পুরোনো ধবধবে সাদা ইলিয়াস খান জামে মসজিদ, যেটির সংস্কারকার্য এখনো চলছে ইতিহাসের ভার কাঁধে নিয়ে। এই ইলিয়াস খান ছিলেন এ জমিদার বাড়ির অধস্তন অষ্টম পুরুষ। তবে জমিদারের বংশধরেরা ষাটের দশক থেকে ভবনটিতে বসবাস করা বন্ধ করে দিয়েছেন। এই জমিদার পরিবারটিকে বলা হয় চট্টগ্রামের তৃতীয় বৃহত্তম জমিদার পরিবার। পরিবারের সদস্যরা ছিলেন ধর্মভীরু। চট্টগ্রামজুড়ে একাধিক ঐতিহাসিক মসজিদ, দিঘি, সড়ক, হাটবাজারসহ বহু জনহিতকর প্রতিষ্ঠানের পেছনে আছে এ পরিবারের ছোঁয়া।

ঝোপ-জঙ্গলের মধ্যে উঁকি দেওয়া এই জমিদার বাড়ির দেওয়ালগুলো একসময় শুনেছিল হাসির রোল, সানাইয়ের ধ্বনি, রাজকীয় আড্ডার কোলাহল। এখানে ছিল চুড়ির ঝনঝন, মেহেদির ঘ্রাণ, কপালের সিঁদুর—ছিল জীবনের রঙিন উৎসব। এখানে পদ্মফুলের মতো ফুটে উঠত গানের আসর, সুরের জাদুতে থেমে যেত সময়ের ঘড়ি।

আজ সেই সুর নীরব, সেই উঠান শূন্য। দেওয়ালের ফাঁকে যেন লুকিয়ে আছে শত গল্প, অপূর্ণ প্রেম আর অজানা প্রতীক্ষা। বাড়িটি কেবল ইট-পাথরের গাঁথুনি নয়—এ এক নিঃশ্বাস ফেলা ইতিহাস। যার প্রতিটি করিডোরে ঘুরে বেড়ায় অতীতের ছায়া। যার প্রতিটি দরজায় হাত রাখলে ঠান্ডা হয়ে ওঠে সময়। সবকিছু যেন থমকে গেছে, অথচ কিছুই হারায়নি—সবকিছু কেবল ঘুমিয়ে আছে, একদিন জেগে উঠবে বলে।

স্থানীয় একাধিক বাসিন্দার সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, এই জমিদার বাড়ির বিভিন্ন স্থাপনা অযত্ন ও অবহেলার কারণে একের পর এক ধ্বংস হয়ে যাচ্ছে। সরকার এই ইতিহাস সমৃদ্ধ বাড়িটি সংরক্ষণের ব্যবস্থা নিলেই পর্যটকেরা এখানে এসে মনোমুগ্ধকর এক অভিজ্ঞতা নিয়ে ফিরে যেতে পারবেন। ইতিহাসও চির অম্লান হয়ে থাকবে।

জমিদার বাড়ি সম্পর্কে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের কলা ও মানববিদ্যা অনুষদের জার্নালে প্রকাশিত ইতিহাস বিভাগের অধ্যাপক ড. নুরুল ইসলাম রচিত প্রবন্ধ ‘চট্টগ্রামে জমিদার শ্রেণির উদ্ভব ও বিকাশ: ১৮৪৮ খ্রিষ্টাব্দ পর্যন্ত’ থেকে জানা যায়—উল্লিখিত সময়ের মধ্যে চট্টগ্রামের জমিদারদের উৎপত্তির ইতিহাস পর্যালোচনা করলে চারটি শ্রেণির তথ্য পাওয়া যায়: সামরিক, প্রশাসনিক, ইউরোপীয় ও আরাকানি। তন্মধ্যে সামরিক জমিদারদের মধ্যে অন্যতম পরিবার ছিল মনোহর রায় জমিদারি। এ বংশের প্রতিষ্ঠাতা ছিলেন রাজা রামরায়। চট্টগ্রামের নোয়াপাড়ায় বিস্তীর্ণ অঞ্চলজুড়ে তাঁর জমিদারি বিদ্যমান ছিল। তাঁর চার পুত্র: শ্রীযুক্ত রায়, দুর্গাপ্রসাদ রায়, শ্যামরায় ও চাঁদ রায়।

এদের মধ্যে শ্যামরায় পরবর্তীতে ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করেন এবং আনোয়ারায় বড় উঠানের বিখ্যাত মিয়া বাড়ি জমিদারি প্রতিষ্ঠা করেন। শ্রীযুক্ত রায়ের তীর্থলব্ধ পত্নীর গর্ভে মনোহর রায়ের জন্ম হয়। মনোহর রায়ের জন্মের পর প্রথম স্ত্রীর গর্ভে জগদীশ রায় জন্মগ্রহণ করেছিলেন। শ্রীযুক্ত রায়ের মৃত্যুর পর তাঁর জমিদারি দুই পুত্রের মধ্যে বিভক্ত হয় (শ্রী সজনীকান্ত দাস ১৩৬৬, ৩-৪)। মনোহর রায়ের বংশধরেরা পুরুষানুক্রমে চট্টগ্রামে তাঁদের জমিদারি পরিচালনা করেছিলেন।

জমিদারি পরিচালনা ছাড়াও এ বংশের অনেকে শিক্ষা-দীক্ষা গ্রহণ করে ব্রিটিশ সরকারের উচ্চপদে চাকরি করেছিলেন। এদের মধ্যে অন্যতম নবীনচন্দ্র সেন। নবীনচন্দ্র সেন উচ্চশিক্ষা গ্রহণ করে সরকারি চাকরিতে যোগ দেন এবং ডেপুটি ম্যাজিস্ট্রেট ও ডেপুটি কালেক্টর হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। চাকরি ছাড়াও তিনি কবি ও সাহিত্যিক হিসেবেও ব্যাপক খ্যাতি লাভ করেন। তাঁর আত্মজীবনীমূলক গ্রন্থ ‘আমার জীবন’ সুধী সমাজে আজও সমাদৃত।

যোগাযোগ করা হলে মনোহর আলী জমিদারের ষোলোতম বংশধর সাজ্জাদ খান মিঠু ট্রেড ট্রিবিউনকে বলেন, “আমরা এ পর্যন্ত ঘাঁটাঘাঁটি করে যা পেয়েছি, তা হলো, আমাদের বংশের প্রথম পুরুষ ছিলেন মনোহর আলী খান। তাঁর প্রকৃত নাম ছিল রাজা শ্যামরায়। তিনি নবাব শায়েস্তা খানের জামাতা ছিলেন। তবে আমরা এখনো নিশ্চিত হতে পারিনি যে, শায়েস্তা খানের কোন মেয়েকে তিনি বিয়ে করেছিলেন। অনেকে বলেন, তাঁর নাম নূর জাহান বা নূর বেগম।”

“নবাব শায়েস্তা খানের মেয়েকে বিয়ে করে তিনি মনোহর আলী নাম নেন। বিয়ে করার আগেই মুসলিম হয়েছিলেন। একটি বিশেষ কারণবশত মুসলিম হয়েছিলেন। রাউজানের নবীনচন্দ্র সেন ছিলেন রাজা রামরায়ের বংশধর। তিনি যে ধর্মান্তরিত হয়েছিলেন, সে কথা লেখা আছে নবীনচন্দ্র সেনের জীবনীগ্রন্থ ‘আমার জীবন’ গ্রন্থে। ‘আমার জীবন’ বইটির ভূমিকায় তিনি তা উল্লেখ করেছেন। তিনি সেখানে বলেছেন, তাঁরই পূর্বপুরুষ রাজা শ্যামরায়। আমাদের চার ভাইয়ের মধ্যে রাজা শ্যামরায় ধর্মান্তরিত হয়ে পরবর্তীতে প্রবল প্রতিপত্তির সঙ্গে… এরকম কিছু একটার কথা উল্লেখ করেছিলেন।”

“নবাব শায়েস্তা খান চট্টগ্রামের চার ভাগের এক ভাগ জমিদারি আমাদেরকে দিয়েছিলেন, অর্থাৎ মেয়ের জামাইকে উপহার হিসেবে দিয়েছিলেন। এবং এই জমিদারিটা আমাদের রাউজান পর্যন্ত বিস্তৃত ছিল। রাউজান, আনোয়ারাসহ আরও বেশ কিছু জায়গায় ছিল।”

সাজ্জাদ খান মিঠু আরও বলেন, “বড় উঠানে আমাদের ইতিহাস প্রায় ১৬৯০-৯৬ সাল থেকে। আমরা আগে এখানে ছিলাম না, ছিলাম আরেকটু উত্তরে। বড় উঠানের জমিদার বাড়ির বয়স ২২০ বছরের মতো। এর পরপরই তৈরি হয়েছে আনোয়ার আলী খান মসজিদটি, সেটার বয়স ১৬০ বছরের মতো। পাশের আরেকটি মসজিদ আছে, সেটার নাম ইলিয়াস খান মসজিদ। ইলিয়াস খান হলো আমাদের অষ্টম বংশধর। তিনি ছিলেন ফাজিল খান হাটের প্রতিষ্ঠাতা, আমাদের সপ্তম বংশধর ফাজিল খানের ছেলে। আর আমি হলাম ষোলোতম বংশধর। আমরা তিন ভাই। বাকি দুই ভাইয়ের নাম হলো, সানোয়ার আলী খান, শের আফজাল খান।”

“জমিদার বাড়ির অনেক পরেই কাছারি ঘরটি করা হয়েছিল। কাছারি ঘরে গ্রামের সব শালিস-বিচার হতো। এটা দুটি অংশে বিভক্ত ছিল। ওখানে মুন্সিরা বসত। ওটা মাটির ছিল। আমরা সেটিকে সংস্কার করার অনেক চেষ্টা করেছি কিন্তু পারিনি। বর্ষার পানিতে ভেঙে গিয়েছে।”

“আবার এই জমিদার বাড়ি সংরক্ষণের জন্য আমরা ব্যক্তিগতভাবে অনেক চেষ্টা করেছি, তাও কিন্তু পারিনি। কারণ, ৪-৫ বছর আগে গণপূর্ত অধিদপ্তরের অ্যাডিশনাল চিফ ইঞ্জিনিয়ারকে আমাদের বাড়িতে নিয়ে গিয়েছিলাম। তিনি বাড়ির সবকিছু পরীক্ষা করার পর বলেছেন যে, ফাউন্ডেশনে ফাটল আছে। কাজেই এটা রক্ষা করা কঠিন। অনেক টাকা খরচ হবে, যা আসলে আমাদের ব্যক্তিগত পর্যায়ে সম্ভব না। এটিতে কাজ করলে তা খুব সহজে স্থায়ী হবে, সে ব্যাপারে তিনি কোনো নিশ্চয়তা দিতে পারেননি।”

সাজ্জাদ খান মিঠু আরও বলেন, “পরে সংস্কৃতি মন্ত্রণালয় আমার সঙ্গে অনেকবার যোগাযোগ করেছে। দুই-তিনবার পরিদর্শন করে গিয়েছেন। মসজিদ এবং বাড়িটা তারা সংরক্ষণ করবেন বলে জানিয়েছিলেন। এ নিয়ে অনেক কথা ও চিঠি চালাচালি পর্যন্ত হয়েছিল। পরবর্তীতে আমার সঙ্গে তাঁরা আর বৈঠক করেননি। আমার সঙ্গে সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ের পরিচালক যোগাযোগ করেছিলেন। আমাকে তাঁরা বলছিলেন যে, তাঁরা এটিকে সংরক্ষণ করবেন। কীভাবে সংরক্ষণ করবেন, তা জানতে চেয়েছিলাম। জবাবে বলেছিলেন, আমার সঙ্গে বসে তা ব্যাখ্যা করবেন। এভাবে করবেন করবেন বলে আর করেননি।”

“আমার কথা হলো, সংস্কৃতি মন্ত্রণালয় যদি এগিয়ে আসে, আমাদের বাড়িটা রক্ষা করে, এটাই আমাদের চাওয়া। আমাদের আহ্বান থাকবে, তারা যেন এ ব্যাপারে উদ্যোগী হন।”