চাহিদার ৩৫% ইঞ্জিন নেই, সংকটে চাপের মুখে ঈদের যাত্রীসেবা
বাংলাদেশ রেলওয়ের পূর্বাঞ্চলে চাহিদার তুলনায় লোকোমোটিভ (ইঞ্জিন) সংকট তীব্র আকার ধারণ করেছে, যা আসন্ন পবিত্র ঈদুল আজহা উপলক্ষে নির্বিঘ্নে যাত্রী পরিবহন ও বিশেষ ট্রেন পরিচালনার ক্ষেত্রে উদ্বেগ সৃষ্টি করছে। প্রতিদিন ১১৯টি ইঞ্জিনের প্রয়োজন হলেও পরিবহন বিভাগ পাচ্ছে মাত্র ৭৫ থেকে ৮০টি।
রেলওয়ে পূর্বাঞ্চলের চিফ পাওয়ার কন্ট্রোলার প্রকৌশলী মিজানুর রহমান জানিয়েছেন, রেলওয়ের নতুন সময়সূচি অনুযায়ী পূর্বাঞ্চলে প্রতিদিন স্বাভাবিক ট্রেন চলাচলের জন্য ১১৯টি ইঞ্জিনের প্রয়োজন। কিন্তু গড়ে ৭৫ থেকে ৮০টির বেশি ইঞ্জিন পাওয়া যাচ্ছে না।
তিনি বলেন, “ঈদ উপলক্ষে বিশেষ ট্রেনও চলবে, যার জন্য বাড়তি ইঞ্জিনের প্রয়োজন। কিন্তু আমরা ইচ্ছে করলেই ইঞ্জিন বাড়াতে বা কমাতে পারি না। মেকানিক্যাল বিভাগ থেকে যতগুলো ইঞ্জিন সরবরাহ করা হয়, তা দিয়েই আমাদের ট্রেন পরিচালনা করতে হয়। পূর্বাঞ্চলে ইঞ্জিনের সংকট প্রকট এবং আসন্ন ঈদুল আজহায় কতটি ইঞ্জিন পাওয়া যাবে, তা এখনও নিশ্চিতভাবে বলা যাচ্ছে না।”
এদিকে, ঈদকে সামনে রেখে চট্টগ্রামের পাহাড়তলী ডিজেলশপে পুরোনো ইঞ্জিনগুলো মেরামতের কাজ চলছে বলে রেলওয়ের মেকানিক্যাল বিভাগ থেকে জানা গেছে। তবে, সংশ্লিষ্ট প্রকৌশলীরা জানিয়েছেন, দক্ষ জনবলের অভাব এবং ইঞ্জিন মেরামতের জন্য প্রয়োজনীয় উন্নতমানের যন্ত্রাংশের ঘাটতি রয়েছে।
একাধিক ট্রেন চালকের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, ডিজেলশপে দক্ষ লোকবলের অভাবে নতুন লোকবল দিয়ে ইঞ্জিন মেরামত করার পর অনেক সময় সেগুলো পরের দিনই আবার মেরামতের জন্য পাঠাতে হচ্ছে। তাদের অভিযোগ, ইঞ্জিন মেরামতে যে মানের যন্ত্রাংশ প্রয়োজন, তারও অভাব রয়েছে এবং ডিজেলশপে প্রয়োজনীয় সংখ্যক লোকবলও নেই। পর্যাপ্ত ইঞ্জিন পাওয়া গেলে ট্রেন পরিচালনায় কোনো সমস্যা হতো না বলে তারা জানান।
এই ইঞ্জিন সংকটের কারণে ঈদের সময় যাত্রীদের চাপ সামলাতে বিশেষ ট্রেন পরিচালনাসহ সামগ্রিক রেলসেবা ব্যাহত হতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।